সম্মানিত পাঠক পাঠিকা নিশ্চয় আপনি সজনে পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। আপনি একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন আজকে আমরা পুরো আর্টিকেলে আলোচনা করব সজনে পাতা খাওয়ার উপকারিতা এবং নিয়ম। কিছু বছর পূর্বেও গ্রামে প্রচুর পরিমাণে সজনে গাছ দেখা যেত কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তা কমে যাচ্ছে। আচ্ছা বলুন তো আমরা যদি এমন কোনো খাবারের সন্ধান পেলাম, যে একটি খাবারের মধ্যে কমলালেবুর থেকে সাত গুণ বেশি ভিটামিন সি থাকতো, দুধের থেকে চার গুণ বেশি ক্যালসিয়াম থাকত, গাজরের থেকে চার গুণ বেশি ভিটামিন এ থাকতো, দই এর থেকে দুই গুণ বেশি প্রোটিন থাকত এবং কলার থেকে তিনগুণ বেশি পটাশিয়াম থাকতো, তাহলে কেমন হতো। হ্যাঁ এগুলো সবগুলোই আপনি পেয়ে যাবেন সজিনা পাতাতে।
এটিকে বিভিন্নজন বিভিন্ন নামে ডাকে যে সকল নামগুলোতে ডাকা হয় তা হচ্ছেঃ সজিনা, সাজনা ও সজনে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ
সাজনা পাতার উপকারিতা
আমরা আজকে আলোচনা করব সাজনা বা মরিঙ্গা নিয়ে। এই গাছটিকে স্থানবিশেষে সজনে সাজনা সজিনা বিভিন্ন নামে ডাকা হয়ে থাকে। তা আপনারা যে নামেই ডাকুন না কেন এই গাছটির আপনার পাতা, ফুল, গাছটি ফল অর্থাৎ যেটিকে আমরা সজনে ডাঁটা বলে থাকি, সেই সজনে ডাঁটা এমনকি গাছের ছাল এবং গাছটির মূল পর্যন্ত আমাদের সমান উপকারিতা দিয়ে থাকে। এই গাছ আপনার বাড়িতে বা বাগান বাড়িতে খুব সহজে লাগাতে পারেন এবং খুব কম কষ্টে গাছ থেকে বড় করে তোলা যায়। যে সমস্ত মানুষদের বাড়িতে গাছ নেই কিন্তু সজিনা গাছের ঔষধি লাভ যদি আপনারা পেতে চান, তাহলে কিন্তু আপনারা অনায়াসে বাজারে সাজনা শুকনো পাতা বা সজনে পাতা শুকিয়ে যে পাউডার তৈরি করা হয় অর্থাৎ মরিঙ্গা পাউডার মার্কেট এভেলেবেল। আপনারা বাজারের দোকান থেকেও কিনতে পারেন আর না হলে আজকাল অনলাইনে খুবই ইজিলি এভেলেবেল। মরিঙ্গা পাউডার না হলে মরিঙ্গা পাউডার থেকে তৈরি ট্যাবলেট এবং ক্যাপসুল ফর্মেও কিন্তু এটি পাওয়া যায়।
আমরা আলোচনা করব সজনে পাতার 10 টি আশ্চর্যজনক উপকারিতা নিয়ে। এবং তার সাথে সাথে আমরা জেনে নেবো সজনে পাতা খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি অর্থাৎ কি পদ্ধতিতে খেলে এই সাজনা পাতার ঔষধি গুন আপনি পেতে পারেন এবং সবশেষে আমরা জেনে নেব পাতা কাদের খাওয়া উচিত এবং কাদের খাওয়া উচিত নয়।
সজনে পাতা খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি এবং সময়
এখন আমরা জেনে নেব সজনে পাতা খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি এবং সঠিক সময়ে। অর্থাৎ কোন পদ্ধতিতে সজনে পাতা খাবেন এবং কোন সময়ে খাবেন, যাতে সজিনা পাতার ঔষধি গুন বেশি পরিমাণে আপনি পেতে পারেন।
দেখুন সজনে পাতা আমরা সবাই শাক হিসেবে খেয়ে থাকি। সজনে ফুলের বড়া, সজনে ফুলের সবজি খেয়ে থাকি। সজনে ডাটার বিভিন্ন প্রকারের সবজি ডাল এর সাথে দিয়ে, মাছের ঝোল এর সাথে দিয়ে, বিভিন্ন ভাবে আমরা বাঙালিরা খেয়ে থাকি। এই সজনে পাতা সজনে ফুল এবং সজনে ডাঁটা আমাদের বাঙালিদের কাছে অত্যন্ত কিন্তু প্রিয় একটি খাবার। তাই আপনি সজনে পাতা খাচ্ছেন, নাকি সজনে ফুল খাচ্ছেন, নাকি সজনের ডাঁটা খাচ্ছেন, সেটা মেটার করেনা। আপনি যখন যে জিনিসটি পাবেন যেভাবে আপনি খান না কেন, আপনি সমান উপকারিতা পাবেন। কিন্তু যদি আপনি সারা বছর ধরে এটিকে ওষুধ হিসাবে খেতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে সজনে পাতা খেতে হবে। কিন্তু যদি সজনে পাতা কে আপনারা ঔষধি হিসেবে ব্যবহার করতে চান, তাহলে আমি তিনটি পদ্ধতি বলব, সে তিনটি পদ্ধতির মধ্যে যেকোনো একটি পদ্ধতি আপনারা ব্যবহার করতে পারেন।
- প্রথম হল সজনে পাতার গুড়াঃ সজনে পাতার গুড়া মার্কেটে এভেলেবেল। যদি আপনি মার্কেট থেকে কিনতে না চান, তাহলে যখন আপনার গাছের মধ্যে পাতা থাকবে সেই পাতাকে শুকিয়ে মিক্সার গ্রাইন্ডার এর ডাস্ট করে আপনি বাড়িতে স্টোর করে রাখতে পারেন। আর না হলে আপনি বাজার থেকে কিনতে পারেন। এক চামচ সজনে পাতার গুড়া আপনার মুখের মধ্যে নিয়ে এক গ্লাস কুসুম কুসুম গরম জল ধীরে ধীরে চুমুক দিয়ে চায়ের মতো খাবেন। এবং সেটি খাবেন সকালবেলা ব্রেকফাস্ট পরে।
- দ্বিতীয়তঃ সজনে পাতা চা হিসেবে খেতে পারেন, আপনি যদি কাঁচা পাতা থেকে বানাতে চান, সে ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২০ গ্রাম কাঁচা পাতা নিয়ে সেটিকে আদার সাথে ভালো করে ফুটিয়ে নিয়ে, আপনি চা এর মতন চুমুক দিয়ে দিয়ে খেতে পারেন। আর যদি শুকনো পাতা বা সজনে পাউডার দিয়ে আপনি বানাতে চান, তাহলে আপনি এক চামচ সজনে পাউডার দিয়ে সেটি আদার সাথে ফুঁটিয়ে নিয়ে আপনি চা এর মতন চুমুক দিয়ে দিয়ে খেতে পারেন।
- তৃতীয়তঃ আর না হলে স্যালাডের উপরে নতুবা যেকোনো সবজির উপরে ছিটিয়ে কিন্তু আপনি কি খেতে পারেন। আপনি যদি সজনে পাতার জুস করে খেতে চান তাহলে সজনে পাতার জুস সকাল বেলা খালি পেটে ১ চামচ পর্যন্ত খেতে পারেন।
ডায়াবেটিস রোগীর কাঁচা সজনে পাতার উপকারিতা
সজনে পাতার মধ্যে বিশেষ এক ধরনের প্রোটিন থাকে যে প্রোটিনটি আমাদের শরীরে ইনসুলিন কে মিমিক করে অর্থাৎ আমাদের শরীরে গিয়ে সে প্রোটিনটি ইনসুলিনের মতন কাজ করে। তার ফলে আমাদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়তে পারে না। এছাড়া যদি আপনারা নিয়মিতভাবে সজনে পাতা খেতে পারেন। তাহলে আপনার শরীরে ইনসুলিন সিক্রেশন বেড়ে যায় অর্থাৎ রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়তে থাকে। তার সাথে আপনার শরীরে ইনসুলিন থাকে সেই ইনসুলিনের সেনসিটিভিটি বেড়ে যায়, তার ফলে খুব সহজেই কিন্তু আপনার ডায়াবেটিস কন্ট্রোল হয়ে যায়।
ক্যান্সার প্রতিরোধে সজিনা পাতার উপকারিতা
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে যদি আপনি দীর্ঘদিন ধরে এবং নিয়মিতভাবে সজনে পাতা খেতে পারেন তখন আপনার শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ার সেটি এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছে যায়, তখন বিভিন্ন প্রকারের ক্যান্সার সেল সাথে লড়াই করতো কিন্তু আপনার শরীর সক্ষম হয়। এছাড়া সজনে পাতার মধ্যে এক ধরনের সুগার কমপাউন্ড থাকে যার নাম হল নিয়াজী মেশিন।
এই নিয়াজী মেশিন অন্যান্য ক্যান্সারের সাথে সাথে প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার কেও কিন্তু প্রোটেক্ট করতে সক্ষম। সজনে পাতার মধ্যে যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি রয়েছে সেগুলি আমাদের শরীরে এন্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে আর আমাদের শরীরে যখন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মাত্রা বৃদ্ধি পায়, তখন আমাদের শরীরের ফ্রিরেডিকেল গুলিকে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়। আর আমাদের শরীরে ফ্রিরেডিকেল গুলি যখন ধ্বংস হয়ে যায় তখন আমাদের শরীরের সেগুলিকে ড্যামেজের হাত থেকে রক্ষা করে তার ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কিন্তু অনেকটা কমে যায়।
এছাড়া সজনে পাতার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যামাইনো এসিড, যে অ্যামাইনো এসিড যে সমস্ত ক্যন্সার প্রেসেন্টদের অলরেডি কেমোথেরাপি চলছে, সে কেমোথেরাপি চলা প্রেসেন্টদের ও কিন্তু ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়াতে সাহায্য করে। তাই এমন কি যে সমস্ত মানুষরা ক্যান্সার রোগে ভুগছেন সেই সমস্ত মানুষরা কিন্তু নিয়মিতভাবে মরিঙ্গা বা সজনে পাতা খেতে পারেন।
সজনে পাতার গুড়া খাওয়ার নিয়ম
সকাল বেলা খালি পেটে একগ্লাস পানির সাথে এক চা চামচ সজনে পাতার গুঁড়ো মিশে খেতে পারেন।
মানুষের উপর এবং প্রাণীদের উপরে সজনে পাতা নিয়ে যে সমস্ত গবেষণা চালানো হয়েছে, সে গবেষণায় আরও একটি তথ্য উঠে এসেছে সেটি হলো এই সজনে পাতার মধ্যে কোলেস্টেরলের লোয়ারিং ইফেক্ট রয়েছে অর্থাৎ সজনে পাতা আপনার রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কম করতে সক্ষম। আমাদের রক্তে যত পরিমাণ কোলেস্টেরলপাওয়া যায় তার ৭০% কোলেস্ট্রল তৈরি করে লিভার ৩০% কোলেস্ট্রল আসে বাইরের থেকে অর্থাৎ আমরা যে সমস্ত খাবার খাই সে খাবারের থেকে বাকি কোলেস্ট্রল আসে। এখন যে ৭০% কোলেস্টরল লিভার তৈরি করছে,সেই লিভারকে কোলেস্ট্রল তৈরি করার জন্য এক প্রকারের এনজাইম সাহায্য করে এনজাইম টির নাম হল HMG coA Reductase. HMG coA Reductase কিন্তু লিভারকে সাহায্য করে কোলেস্ট্রল তৈরি করতে।
গবেষণায় দেখা গেছে আপনি যদি নিয়মিতভাবে সজনে পাতা খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের HMG coA Reductase অ্যাক্টিভিটি কমে যায়। তার ফলে লিভারের কোলেসটোর প্রোডাকশন কমে যায় এবং আপনার রক্তে কোলেস্টরলের মাত্রা ধীরে ধীরে কমে আসে।
আপনারা হয়তো প্রায়ই শুনে থাকবেন যে সমস্ত মানুষরা হাই ব্লাড প্রেসারে সমস্যায় ভুগছেন ডাক্তার তাদের কে নিয়মিতভাবে কলা খাওয়ার পরামর্শ দেন। তার কারণ হলো কলা পটাশিয়ামের খুব ভালো একটা সোর্স আর আমাদের শরীরে যখন পটাশিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি পায় তখন আমাদের রক্ত থেকে সোডিয়ামের মাত্রা ধীরে ধীরে কমে আসে। আমাদের রক্ত থেকে যখন সোডিয়ামের মাত্রা কমে যায় তখন দেখবেন ধীরে ধীরে কিন্তু আপনার ব্লাড প্রেসার কমে আসছে। আপনার ব্লাড প্রেসার কন্ট্রোল হয়ে যাচ্ছে। দেখুন আমরা আগেই বলেছি কলা মধ্যে যত পরিমাণ পটাশিয়াম পাওয়া যায়, সজিনা পাতার মধ্যে তার থেকে তিনগুণ বেশি পটাশিয়াম পাওয়া যায়। তাই যদি আপনি নিয়মিতভাবে সজনে পাতা খেতে পারেন, তাহলে আপনার ব্লাড প্রেসার ও কিন্তু থাকবে কন্ট্রোলে।
সজনে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
সজনে পাতায় রয়েছে কমলার থেকে ৭ গুণ বেশি ভিটামিন সি, দুধের থেকে দুধের চেয়ে ৪ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম ও ২ গুণ বেশি প্রোটিন। সজনে পাতা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সর্বোচ্চ অবস্থায় নিয়ে যেতে পারে। তবে চাইলে আপনি এটি মাসে ১৫ দিন খেতে পারেন আবার মাঝে ১৫ দিনের গ্যাপ দিতে পারেন।
এখন আমরা জেনে সজিনা পাতা কাদের খাওয়া যাবে এবং কাদের খাওয়া যাবেনা। সজনে পাতার তেমন কোন অপকারিতা নেই, আপনি সজনে পাতার নির্দ্বিধায় নিঃসংকোচে খেতে পারেন। কিন্তু সজনে পাতা আপনার ব্লাড সুগার এবং ব্লাড প্রেসার কে কম করতে সাহায্য করে, তাই যদি আপনি নিয়মিতভাবে ব্লাড সুগার ব্লাড প্রেসারের ওষুধ খাচ্ছেন, ব্লাড সুগার বা ব্লাড প্রেসার এর মেডিসিন এর ডোজ এবং সজনে পাতা কতটা পরিমাণে খাবেন তা ডাক্তারের সাথে আলোচনা করে নিয়ে খাবেন।
সজনে গাছ এক ধরনের ন্যাচারেল এবং নন টক্সিক প্লান্ট। আপনি যদি নিয়মিতভাবে সজনে পাতা খান তাহলে আপনার ব্রেইনকে বিভিন্ন প্রকার ইনফ্লামেশন এর থেকে দূরে রাখে। তার ফলে আপনার স্ট্রেস অ্যাংজাইটি এবং ডিপ্রেশনের মত সমস্যারও আপনাকে কিন্তু সম্মুখীন হতে হয় না। আধুনিক কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যদি আপনি নিয়মিতভাবে সজনে পাতা খেতে পারেন, তাহলে কিডনী ষ্টোনের মতন সমস্যা ও সহজে কিন্তু আপনার হয় না। গবেষণার আগে বলা হতো যে সমস্ত মানুষদের কিডনি সমস্যা রয়েছে সেই সমস্ত মানুষদের সজনে পাতা খাওয়া বারণ, কারণে সজনে পাতার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম অক্সালেট রয়েছে। ক্যালসিয়াম ও অক্সালেট দুজন মিলেমিশে আপনার ফর্মেশন করতে সাহায্য করে।
কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে গবেষণায় দেখা যায়, এর মধ্যে ক্যালসিয়াম অক্সালেট তো রয়েছে ঠিকই কিন্তু যে ক্যালসিয়াম অক্সালেট রয়েছে সেটা কিন্তু নয় সলিউবল ক্যালসিয়াম অক্সালেট। তার ফলে কিন্তু কিডনিতে স্টোন ফর্মেশন সহজে হতে পারে না।
সজিনা পাতা খাওয়ার নিয়ম
সজিনা পাতা চাইলে আপনি ভাজি বা ভর্তা করে খেতে পারেন এবং পাশাপাশি এটিকে পুরো পাউডার হিসেবেও সেবন করতে পারেন। সজিনা পাতার পাউডার এক গ্লাস পানির সাথে এক চা চামচ পরিমাণে মিশিয়ে সেবন করতে পারেন।
কিছু শিশুদের ওপর এ গবেষণা করে দেখা গেছে, এই সজনে পাতার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে, সে আয়রন কিন্তু আপনার শরীরে যদি অ্যানিমিয়ার মতন সমস্যা থাকে অর্থাৎ রক্তস্বল্পতার মত যদি আপনার সমস্যা থাকে, সেই সমস্যারও কিন্তু অনেকখানি সমাধান করে। এছাড়া ইন্ডিয়া এবং বাংলাদেশের মহিলাদের মধ্যে খুব কমন সমস্যা হলো অ্যানিমিয়া। সমস্ত মহিলাদেরকে পরামর্শ দেওয়া হয় যদি আপনারা নিয়মিত ভাবে সজনে পাতা খেতে পারেন, তাহলে এনিমিয়ার মতন সমস্যা কিন্তু আপনাদের সহজে হবে না। সজনে পাতার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেলস যা আমাদের ডাইজেস্টিভ পাওয়ারকে ইম্প্রুভ করতে সাহায্য করে। ৪০ রকমের থেকে বেশি পরিমাণে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি প্রপার্টিজ রয়েছে যা আমাদের ডাইজেস্টিভ সিস্টেমের সাথে সাথে আমাদের কনস্টিপেশন, ডায়রিয়া, আলসারেটিভ কোলাইটিস, তারপর আপনার পেট ফাঁপা এই সমস্ত সমস্যা থেকেও কিন্তু অনেকখানি মুক্তি দিতে পারে।
লেখকের মন্তব্য
আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি সম্পূর্ণভাবে জানতে পেরেছেন সজনে পাতার উপকারিতা সম্পর্কে। যদি আপনি সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি জানতে পেরেছেন সজনে পাতার উপকারিতা খাবার নিয়ম সকল বিষয়ে। এরকম স্বাস্থ্য বিষয়ক আরো তথ্য জানতে আমাদের ব্লগ সাইটের সাথেই থাকুন। অবশেষে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়ার জন্য।